ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ

১৮ মাসে শেষ হওয়ার কথা, হয়নি ৫ বছরেও

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৮ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:০৮, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
১৮ মাসে শেষ হওয়ার কথা, হয়নি ৫ বছরেও

পাবলাখালী শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। ছবি- রাইজিংবিডি

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পাবলাখালী শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। শ্রেণি সঙ্কট দেখা দেওয়ায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যালয়টির চারতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউ টি মং কনস্ট্রাকশন। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল তাদের। তবে, পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তারা কাজ শেষ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। 

খাগড়াছড়ি শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিসলি চাকমা জানান, পাবলাখালী শান্তিপুর বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষকরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। ক্লাসরুম সঙ্কট দেখা দেওয়ায় বিদ্যালয়টির জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউ টি মং কনট্রাক্টশন।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজটি শুরু হয়। শুরুর দিন থেকে ১৮ মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা ছিল ঠিকাদারের। তবে, পাঁচ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কাজ শেষ হয়নি। ভবন নির্মাণের জন্য আগের টিনসেডের ভবন ভেঙে ফেলায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউ টি মং কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ইউ টি মং-এর মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাবলাখালী শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত বরন বড়ুয়া বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে ইউ টি মং কনস্ট্রাকশন। ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ বন্ধ রয়েছে। যে কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।’ 

খাগড়াছড়ি  শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিসলি চাকমা বলেন, ‘জেলায় চলমান প্রতিটি কাজ তদারকি করা হচ্ছে। যে সব কাজ ঠিকাদাররা বন্ধ রেখেছেন তাদের সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাবলাখালী শান্তিপুর বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ যেন দ্রুত শেষ করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপায়ন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়