ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ডিআইজি সুব্রত কুমার কারাগারে

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২০ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৪৫, ২০ নভেম্বর ২০২৪
ডিআইজি সুব্রত কুমার কারাগারে

ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদার

পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুর জেলার সাবেক এসপি ও বর্তমান ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নুর মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার কবির তাকে (সুব্রত কুমার) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

এর আগে, গত বছরের ৫ জুলাই সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সুব্রত হালদার বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত ছিলেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা এবং মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপ-পরিদর্শক) গোলাম রহমান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুব্রত কুমার হালদার ২০১৯ সালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন এবং ১৭ প্রার্থীর কাছ থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ নেন। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এই ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ দুপুরে এই মামলা আদালতে জামিনের আবেদন করেন সুব্রত কুমার। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

 দুদকের পিপি আনিসুর রহমান বলেন, ‍“রাষ্টপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। ডিআইজি সুব্রত হালাদারকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সুব্রত কুমার হালদার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আমরা তার আপত্তি জানাই। সুব্রত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে এবং অভিযোগপত্র দাখিলও করেছে। তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ নিয়ে অপরাধ করেছেন। তাই রাষ্ট্র তৎপর হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।”

মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, তদন্তকালে জব্দ করা ৩২টি লিখিত পরীক্ষার খাতা ও আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের চিহ্ন এবং অতিমূল্যায়নের প্রমাণ পায়। তিনি যাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন তাদের খাতায় সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া ছিলো এবং এসব প্রার্থীদের খাতায় অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন। এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়