ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ে, অতঃপর স্ত্রীকে হত্যা
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় শামীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে দাউদকান্দি উপজেলার হাট চান্দিনা গ্রামে তাকে হত্যা করা হয।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শামীমার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ ওরফে মাসুমের হাতে খুন হয়েছেন শামীমা। এ ঘটনার পর থেকে মাসুদ পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত মাসুদ উপজেলার মাওরাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
শামীমার বড় বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, শামীমার আরেক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যে মাসুদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে শামীমাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাসুদ। পরে মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলা থেকে রক্ষা পেতে চার বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে মাসুদকে নিয়ে চান্দিনা গ্রামে বাবার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামীমা। তাঁদের দুই সন্তান আছে।
খুনের বিষয়ে তাছলিমা বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন মাস বয়সী ছেলেকে দুধ পান করাচ্ছিলেন শামীমা। এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান মাসুদ। একপর্যায়ে শামীমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলাকেটে পালিয়ে যান তিনি। পরে শামীমাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানান, নিহত শামীমার গলায় দুটি, ডান হাতের আঙুলে একটি ও দুই হাতের বাহুতে দুটি কোপের চিহ্ন আছে।
উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শামীমার বড় বোন ও মাসহ কয়েকজন পুলিশ ফাঁড়িতে আসে। তারা সেলিম ও সেলিমের বোনসহ কয়েকজনের নামে মৌখিক অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগ দিতে বললে পরে এসে দেবেন বলে চলে যান। এরপর রাতে শামীমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল