আমরা সংস্কার চাই, তবে দ্রুত নির্বাচনও দরকার: ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
যশোরে শুক্রবার “ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা” আলোচনা সভায় যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা সংস্কার চাই, তবে দ্রুত নির্বাচনও দরকার। দেশে যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই দেশের মঙ্গল। মনে রাখতে হবে, এটা কোনো বিপ্লবী সরকার নয়, এটি সাংবিধানিক সরকার। বিপ্লবী সরকার হলে আমাদের কোনো কথা থাকতো না। হাইকোর্ট থেকে বৈধতা নিয়ে এই সরকার গঠন করা হয়েছে। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়।”
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত “ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ নিয়ে প্রতিদিন চক্রান্ত চলছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয়। তাই যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্র সমাজকে রাজপথে সক্রিয় থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মাধ্যমে আন্দোলনের একটি উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এখন মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনমানুষের দ্বিতীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করার মাধ্যমে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস নেই। ৭১ পরবর্তী বাংলাদেশে শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি ব্কশাল কায়েম করেছিলেন। যার অবধারিত পরিণতি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “গত ফ্যসিস্ট সরকার মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। বিভিন্ন কালাকানুনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার মিডিয়া দখল করে ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল।”
মির্জ ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে পলানোর ইতিহাস। ৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা সব পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ফুর্তি করেছিল। মেজর জিয়ার নেতৃর্ত্বে ছাত্র-জনতা, কৃষক-শ্রমিক ও নারী-পুরুষ একত্রে মিলে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিল। তেমনি তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের ছাত্র -জনতা দীর্ঘ সংগ্রাম করে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।”
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
অন্যদের উপস্থিত ছিলেন- যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর প্রস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার টি এস আয়ুব, অ্যাডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কামরুল ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহ, জাবের ও তৌহিদের পরিবারের সদস্যরা।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ