ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ

মধুমতির কচুরিপানা পরিষ্কার, সচল হয়েছে নৌ-চলাচল 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৬ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:০৬, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
মধুমতির কচুরিপানা পরিষ্কার, সচল হয়েছে নৌ-চলাচল 

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে মধুমতির নদীর এক কিলোমিটার এলাকার কচুরিপানা পরিষ্কার করেছে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সচল হয়েছে নৌ-চলাচল।

মধুমতি নদীতে কচুরিপানার এতটাই বিস্তার ঘটেছিলো যে, এ কারণে ২০ দিন ধরে গোপালগঞ্জের সাথে ৫ জেলার নৌ-চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে বাগেরহাট, পিরোজপুর, নড়াইল, বরিশাল ও খুলনার সাথে সরাসরি নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কচুরিপানার স্তুপ পরিস্কার করে সোমবার (২৫ নভেম্বর) থেকে নৌ-চলাচল সচল করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর মানিকহার সেতুটি গুচ্ছ পিলারের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে পিলারের ফাঁকে ফাঁকে কচুরিপানা আটকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। 

এ নিয়ে রাইজিংবিডিতে গত ১৭ নভেম্বর ‘মধুমতিতে কচুরিপানা, গোপালগঞ্জের সঙ্গে ৫ জেলার নৌ চলাচল বন্ধ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সদর উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে নড়েচড়ে বসেন তারা। এরপর থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী শওকত খাঁ বলেন, “মধুমতি নদীর মানিকহার ব্রিজ থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত কচুরীপানার স্তুপ জমেছিল। বিষয়টি জানার পর প্রশাসক মধুমতি নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ করেছে। এতে মধুমতি নদী দিয়ে নৌ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”

স্থানীয় যুবক জাহিদুল খান বলেন, “মধুমতি নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ করায় আগের মত সরাসরি নৌ চলাচল করতে পারবে। এতে নৌকায় করে উরফি হাটে আসা লোকজন উপকৃত হবে। এখন আর ২৫ কিলোমিটার ঘুরে যোগানিয়া হয়ে যাতায়াত করতে হবে না।”

উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী বলেন, “এ জেলার প্রধান নদী মধুমতি। এ নদী দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ জেলার অন্তত ২০০ নৌযান চলাচল করে। মানিকহার সেতুর পিলারে কচুরিপানা জমে আস্তে আস্তে তা বিশাল স্তূপে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ইতোমধ্যে মধুমতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে। এখন মধুমতি নদী দিয়ে নির্বিঘ্নে নৌ চলাচল করতে পারবে।”

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, “মধুমতি নদীতে এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ২০ দিন নৌ চলাচল বন্ধ থাকে। এতে গোপালগঞ্জের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, নড়াইল, বাগেরহাট ও পিরোজপুরের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। সংবাদ মধ্যমে প্রচার হবার পর বিষয়টি আমি লিখিত ও মৌখিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাদের অনুমতি নিয়ে মানিকহার সেতু এলাকার কচুরিপানার স্তুপ পরিষ্কার করে দিয়েছি। এতে নদীতে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দূর-দুরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীদের আর কোন সমস্যা নেই।” 

মধুমতিতে কচুরিপানা, গোপালগঞ্জের সঙ্গে ৫ জেলার নৌ চলাচল বন্ধ

ঢাকা/বাদল/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়