ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৪ ১৪৩১

চিন্ময়ের গ্রেপ্তারে হাসিনা কুমিরের কান্না করছেন: রিজভী

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৮ নভেম্বর ২০২৪  
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারে হাসিনা কুমিরের কান্না করছেন: রিজভী

বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বৃদ্ধিজীবী স্মৃতি স্তম্ভে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী

ইসকনের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিরের কান্না করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘যে আপনি মুগ্ধকে হত্যা করতে পারেন, আবু সাঈদকে হত্যা করতে পারেন, আজ চিন্ময় গ্রেপ্তার হয়েছে বলে সেই আপনি কুমিরের কান্না করছেন।’’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মহানায়ক জিয়াউর রহমান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বৃদ্ধিজীবী স্মৃতি স্তম্ভের বেদিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘হঠাৎ করে ইসকনের নানা তৎপরতা দেখা গেল। দেশকে অস্থিতিশীল করতে যত রকমের করা দরকার, সেটা করা হচ্ছিল। চিন্ময় গ্রেপ্তার হয়েছে দেশের প্রচলিত আইনে। আজকে তিনি (শেখ হাসিনা) স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। যে আপনি মুগ্ধকে হত্যা করতে পারেন, আবু সাঈদকে হত্যা করতে পারেন, আজকে চিন্ময় গ্রেপ্তার হয়েছে বলে সেই আপনি কুমিরের কান্না করছেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘চিন্ময় গ্রেপ্তার হয়েছে বলে আজকে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর বার বার বিবৃতি দিচ্ছে। যেদিন ছাত্রলীগ বিশ্বজিৎকে হত্যা করল, সেদিন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোন বিবৃতি দেয়নি। যেদিন ভারতের বাধ খুলে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেদিন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোন বিবৃতি দেয়নি। সেদিন তো শুধু মুসলমান নয়, হিন্দুর বাড়িও ভেসে গেছে। সেদিন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর কোন দয়া-মায়া দেখায়নি।’’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘‘১৮ কোটি মানুষের দেশে অস্থিতিশীল কিছু তৈরি করে আপনারা কিছু করতে পারবেন না। কীভাবে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হয় দেশকে বাঁচাতে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে চলে গেছে। শেখ পরিবারের কেউ নেই। অর্থাৎ তারা আগেই জানত। তারা নিজ দলের নেতাকর্মীদের দিকে না তাকিয়ে পালিয়ে গেল। এই হচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য। তিনি রাজনীতি করেন নিজের জন্য।’’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম রফিকুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী।

ঢাকা/কেয়া/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়