ঢাকা     শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৪ ১৪৩১

এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ২৯ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:৫০, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌরাকররা-চৌধুরী মালঞ্চ সড়কটি দিয়ে ১০টি গ্রামের প্রায় ২৫০০ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। মাত্র এক কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরা। 

সামান্য বর্ষায়ই এ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা যায় এবং চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিককালের বর্ষায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হলেও আর সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, অনেক জায়গার মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মগড়া ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং নামকরা চৌরাকররা বাজারটি আশেপাশের এলাকার মানুষের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামের মানুষ যাওয়ায় অন্যতম রাস্তা চৌরাকররা-চৌধুরী মালঞ্চ সড়ক। ফলে শ্রমজীবী লোকজন থেকে শুরু করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন এ সড়কে কয়েকশ’ যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় অসুস্থ রোগী, শিশু, নারী ও বয়স্কদের। 

সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি। ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

চৌধুরী মালঞ্চ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শিক্ষক মো. মাইন উদ্দীন (৭২) বলেন, “প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে এ রাস্তাতে। অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।”

চৌরাকররা গ্রামের বাসিন্দা মো. তায়েজ উদ্দীন (৭৪) বলেন, “প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগেও একটি রিকশা উল্টে যায়। এতে মহিলা যাত্রী গুরুতর আহত হয়। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।”

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহজাহান (৬১) বলেন, “বর্ষা আসলে আমাদের কষ্টের আর সীমা থাকে না। বর্ষার পরও এ কষ্ট আর শেষ হচ্ছেনা। এমন দুর্ভোগ যেনো আর কারো না হয়।”

বাহির শিমুল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. সেলিম (৪৫) বলেন, “এর আগের সরকারের আমলে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা আমাদেরকে বারবার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই আশ্বাস ১৭ বছর কেটে গেলো। কিন্তু রাস্তার কাজ আর হয়নি।”

ঢাকা/কাওছার/টিপু 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়