ঢাকা     শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৫ ১৪৩১

শেরপুরে পীরের দরবারে ভাঙচুর, কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৯ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:৫৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
শেরপুরে পীরের দরবারে ভাঙচুর, কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

গতকাল বৃহস্পতিবার দোজা পীরের দরবারে হামলা হয়

শেরপুর সদরের  লছমনপুর গ্রামে মুর্শিদপুর দোজা পীরের দরবারে আবারো হামলা, আগুন ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার পর দারবারটিতে হামলা চালান স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পরীরের সমর্থরা শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তা প্রতিরোধের ঘোষণা দেন স্থানীয়রা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন: শেরপুরে পীরের দরবারে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১৩

আজ দুপুর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেন। শহরের শেরীব্রিজ মোড়, কুসুমহাটি মোড় ও লছমনপুর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর রাতে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকাস্থ খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে হামলা হয়। এতে হামলাকারী ও হামলার শিকার উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনায় হাফেজ উদ্দিন নামে আহত এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ নভেম্বর সকালে মারা যান। 

এলাকাবাসী জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই লছমনপুর গ্রামের মুর্শিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই মধ্যে গত ২৬ নভেম্বর ভোরে দোজা পীরের দরবারে হামলা হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও দরবারের মুরীদদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে হাফেজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ২৭ নভেম্বর সকালে মারা যান তিনি।

এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে নিহতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ লোকজন  পীরের আস্তানায় হামলা চালায়। এসময় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় পীরের আস্তানা। পাশাপাশি পীরের বাড়িতে থাকা সব মালামাল লুট করেন তারা।

এরই জেরে আজ লং মার্চের ঘোষণা দেন পীরের অনুসারীরা। সেটি প্রতিরোধের ঘোষণা দেন স্থানীয়রা। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। 

ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিব’র সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “শেরপুরের আইনশৃঙ্খলা যেন স্বাভাবিক রাখা যায় সে কারণে আমরা এখানে এসেছি। আমরা সব সময় চেষ্টা করি প্রশাসনকে সহযোগিতা করার। দেশের যেকোন পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করতে বদ্ধ পরিকর।”

তারিকুল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়