মাংস আমদানি নয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে রবিবার কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
গরুর মাংসের চাহিদা থাকায় বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশে মাংস রপ্তানিতে আগ্রহী। তবে আমদানি নয়, দেশে যারা মাংস উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সদ্য সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, “সবাই তো তাদের দেশের পণ্য রপ্তানি করতে চায়। সেটা তো তাদের কোনো দোষ না। তারা একটা জিনিস দেখছে, সেটা হলো বাজারে আমাদের গরুর মাংসের দাম ও মানুষের কাছে চাহিদা। সেটা যথেষ্ট মানে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। সেটা পাওয়া না যাওয়ার কারণে অনেক দেশ আছে যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মিং করে তারা সাবসিটি দেয়।”
তিনি বলেন, “তারা যে সাবসিটি দেয় সেটা মূলত রপ্তানির উদ্দেশ্যে। সেটা করে বলেই তারা বাংলাদেশকে একটা জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে। যেহেতু, বাংলাদেশে মাংসের দাম বেশি, ফলে এখানে দিতে পারে। তারা রপ্তানি করতে চায়। তারা আমাদের কাছে এসে প্রস্তাব দেয় যে তোমরা ইম্পোর্ট করো আমরা দেব। এমন কি বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারকরাও খুব আগ্রহী আনার জন্য। সেজন্য বলছি, যারা উৎপাদনের (মাংস) সঙ্গে যুক্ত, যারা পশু লালন-পালনের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে প্রাধান্য দেব। আমরা খালি ব্যবসার বিষয় হিসেবে রাখতে চাই না।”
প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
কর্মশালায় ছয়টি সেশনে ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন বিশেষজ্ঞ ও খামারিরা অংশ নেন।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ