এনটিসি’র ১৮ বাগান খুলবে বৃহস্পতিবার 

বকেয়া মজুরি প্রদান ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী বৃহম্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তারা কাজে যোগ দেবেন বলে সংশ্লিষ্টা সূত্রে জানা গেছে।

আরো পড়ুন: বকেয়া মজুরির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে চা শ্রমিকরা

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি জানান, শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির কর্তৃপক্ষের যৌথ বৈঠক হয়। বৈঠকে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের সবকটি বাগানের চা শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে কাজে যোগ দেবেন এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ন্যাশনাল টি কোম্পানি কর্তৃপক্ষের যৌথ বৈঠক হয়। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ হাসান, এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক, ডিডিএল নাহিদুল ইসলাম এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি প্রমুখ।

আরো পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানির শ্রমিকরা

বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হল- আগামী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে। মাসিক বেতনধারী শ্রমিকদের ১ মাসের বেতন দেওয়া হবে। এখন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হবে। বাগানের কর্মচারীদের আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। বাগান বন্ধের দিনগুলোতে চা শ্রমিকদের রেশন কাটা হবে না। বোনাস ও বার্ষিক ছুটির দিন গণনার ক্ষেত্রে বাগান বন্ধের দিনগুলো অনুপস্থিত দেখানো হবে না। অবশিষ্ট বকেয়া মজুরি আগামী ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা হবে। 

প্রসঙ্গত, মজুরি না পেয়ে টানা ১২ সপ্তাহ ধরে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৮টি বাগানে সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। ফলে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাগানগুলো অচল হয়ে যায়।