এক্সপ্রেসওয়েতে মরদেহ
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় তরুণীকে: পুলিশ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার
“বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকা শাহিদা ইসলামকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এনে গত শনিবার সকালে গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারী থানা থেকে লুট হয়েছিল।”
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, “শাহিদা ইসলামকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ শেখ তন্ময়। ভোলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে তাকে গতকাল সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানি থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করা হয়।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, “উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারী থানা থেকে লুট হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শাহিদা ইসলামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই মামলা হয়। নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন।
নিহত শাহিদা আক্তার ময়মনসিংহের কোতয়ালি থানার বরিয়ান বেগুনবাড়ির মৃত মোতালেবের মেয়ে। তিনি ঢাকার ওয়ারীতে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা/রতন/মাসুদ