আইনজীবী আলিফ হত্যা: দুই আসামি রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার সঙ্গে জড়িত চন্দন দাশ ও রিপন দাশের পাঁচ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আরো পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি পিছিয়েছে ১ মাস
চন্দন দাশ আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
পুলিশ গত বুধবার মধ্যরাতে এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক স্থান থেকে চন্দন দাশ ও রিপন দাকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিও চিত্রে বটি হাতে দেখা যাওয়া রিপন দাশকে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় সরাসরি জড়িত ভিডিও ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে রিপন দাশ নামে একজনকে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালী থানার একটি টিম আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রিপন দাশ এজাহারভুক্ত আসামি নয়। আজ চন্দন দাশ ও রিপন দাশকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমাণ্ড প্রার্থনা করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তাদের ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন।”
পুলিশ জানায়, আলিফ হত্যায় প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে রিপন দাশকে নীল রঙের গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় হাতে বটি নিয়ে দেখা গেছে। তিনি কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটার হরিশ চন্দ্র লেইনের সাধুর বাড়ির মৃদুল দাসের ছেলে। তিনি নগরের চকবাজার এলাকার একটি ফার্মেসিতে চাকরি করতেন। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা থেকে আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাজির করা হয় তাকে। সেসময় তিনি জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করে প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান ঘিরে রাখে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ও বিজিবি বিকেল ৩টার দিকে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। পরে চিন্ময় অনুসারীরা কুপিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত আইনজীবী আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন গত ২৯ নভেম্বর ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে নাম না জানা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ