কাজে যোগ দেননি এনটিসির ৮ বাগানের চা শ্রমিকরা
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
চা বাগান
বকেয়া মজুরি না পাওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) আটটি চা বাগানের শ্রমিকরা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কাজে যোগ দেননি।
আরো পড়ুন: এনটিসি’র ১৮ বাগান খুলবে বৃহস্পতিবার
শ্রমিক নেতাদের ভাষ্য, গত তিন মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির প্রথম কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করতে পারেনি। এ কারণে শুক্রবার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি।
জানা গেছে, মজুরি না পেয়ে প্রায় তিন মাস ধরে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি বাগানে সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এতে সরকার নিয়ন্ত্রিত এ বাগানগুলো অচল হয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানে গত ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ন্যাশনাল টি কোম্পানির কর্তৃপক্ষের যৌথ বৈঠক হয়।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলো হল- আগামী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে। মাসিক বেতনধারী শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দেওয়া হবে।শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হবে। বাগানের কর্মচারীদের আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। বাগান বন্ধের দিনগুলোতে চা শ্রমিকদের রেশন কাটা হবে না। বোনাস ও বার্ষিক ছুটির দিন গণনার ক্ষেত্রে বাগান বন্ধের দিনগুলো অনুপস্থিত দেখানো হবে না। অবশিষ্ট বকেয়া মজুরি আগামী ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বলেন, “তিন মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ রয়েঠে। বৈঠকে লিখিত সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় এনটিসির চা শ্রমিকরা খুবই হতাশ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মজুরির প্রথম কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। আমি এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।”
ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায়নি। ফলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি, আগামী রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বা সোমবারের (৯ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাংক ঋণ পাওয়া গেলে চা শ্রমিকদের মজুরি প্রদান শুরু করা যাবে এবং শ্রমিকরা বাগানে চা তোলার কাজে যোগ দেবেন।”
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ