মর্গে থাকা ছবি দেখে শনাক্ত করা হয় রফিকুলের লাশ
পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
রফিকুল ইসলাম। ফাইল ফটো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিখোঁজ হন কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৫২)। নিখোঁজের ২৪ দিন পর মর্গে থাকা ছবি দেখে তার লাশ শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১০ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রফিকুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ ছবি দেখে তার লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে ওই দিন বিকেলে রায়ের বাজার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এর আগে, গত ১৯ জুলাই নিখোঁজ হন তিনি।
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুরে। ঢাকার গোপীবাগে তার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহতের স্ত্রী নাফিয়া ইসলাম বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালে ১৯ জুলাই রাতে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ১০ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার গুলিবিদ্ধ ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করি। পরে একই দিন বিকেলে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।’’
রফিকুল ইসলামের ছেলে রাইয়ান বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষে বাবা কয়েকটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। নিখোঁজ পরে আমরা ধারণা করেছিলাম, তিনি হয়তো পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে আছেন। পরবর্তীতে তার সন্ধানে বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু, কোথাও তার খোঁজ পাইনি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘১৯ জুলাই বাবা এশার নামাজ পড়ার জন্য বাসা দেখে বের হয়ে মসজিদে যান। নামাজ পড়ে বাসায় ফিরতে দেরি হওয়া মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাইনি।’’
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের হাজার হাজার শিক্ষক ও ভিন্ন মতাদর্শের নেতাকর্মীদের হত্যা করে লাশ গুম করেছে। তাদের সকল হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।’’
ঢাকা/তাওহিদুল/রাজীব