ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১১ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৫৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

জিরার বীজ রোপণের জন্য শ্রমিকদের দিয়ে জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকায়।

সুপরিচিত ও জনপ্রিয় একটি মসলা জিরা। এই জিরা মসলা দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে প্রথমবারের মতো বারি-১ জাতের জিরার আবাদ শুরু করেছেন মাহবুবুল ইসলাম পলাশ নামে এক কৃষি উদ্যোক্তা। তার এই উদ্যোগ দেখে স্থানীয় অন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।

জানা যায়, জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তার সংগ্রহে রয়েছে হরেক রকম বিরল বৃক্ষ। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এই উদ্যোক্তা সখের বশে বাড়ির পাশে ১০ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো বারি-১ জাতের জিরা চাষাবাদ শুরু করেছেন। উত্তমরূপে জমি চাষাবাদ করে সেখানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪শ’ গ্রাম জিরা বীজ বপন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষি উদ্যোক্তার নিজের প্রায় সাত বিঘা জমির উপর বাড়িতে ৩৪৫ প্রজাতির ৪ হাজার হরেক রকম বৃক্ষের সংগ্রহ রয়েছে। ছোট-বড় এসব গাছপালায় পুরো বাড়িটি সবুজে ঘেরা। মূলত বিরল বৃক্ষ সংগ্রহ এবং ফসল চাষাবাদে তার আগ্রহ বেশি। একারণে তিনি নিজের জমিতে জিরা চাষাবাদ শুরু করেছেন। 

এদিকে জিরার ফলন ভাল পেলে আগামীতে এর চাষাবাদের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের এই চাষাবাদের জন্য সহযোগিতা করবে বলে কৃষি উদ্যোক্তা জানিয়েছেন।

মাহবুবুল ইসলাম পলাশ বলেন, “বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে ১০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।” 

তিনি আরো বলেন, “জিরার চাষে সফল হলে উপজেলার কৃষকদের সুলভ মূল্যে বীজ দেওয়ার চেষ্টা করব। এই জিরা চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো, যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরা চাষের জন্য বালু-দোয়াস মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয়। ইতোমধ্যে এই জিরা চাষাবাদের জমি দেখতে আশেপাশের কৃষকেরা ছুটে আসছেন। তারাও চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।”

 

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ জানান, নতুন ফসল হিসাবে মাহবুবুল ইসলাম পলাশ পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ করেছেন। তার জিরা চাষ কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরে রেখেছে। আমরা শেষ পর্যন্ত এটার ফলন কেমন হয় সেটা দেখব। তারপর অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করব।

ঢাকা/রাসেল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়