ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জের বাজারে সয়াবিন তেল মিলছে না

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২০, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
মুন্সীগঞ্জের বাজারে সয়াবিন তেল মিলছে না

মুন্সীগঞ্জের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা দোকানে এসে তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমতে থাকে। তবে গত সপ্তাহ থেকে এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করেছে।  

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে সয়াবিন তেল নেই। আগে এ সব দোকানে রূপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যেত। এখন কোনো ব্যান্ডের তেলই নেই। কদাচিত কিছু দোকানে কয়েকটি বোতল দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জ শহরের স্বপ্ন সুপার শপে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সয়াবিন তেল নেই। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, বেশ কিছু ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলার ঐতিহ্যবাহী মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী পাপ্পু সাহা বলেন, ‘‘গত দুই সপ্তাহ ধরে তেলের ঘাটতি দেখা দেয়। প্রথমে কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ কমিয়ে দেয়। গত সপ্তাহ থেকে তেলের সরবরাহ বন্ধ। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ নারায়ণগঞ্জ থেকে বেশি দামে তেল কিনে আনে। সেগুলোর দাম গায়ে ১৬৭ টাকা কেজি লেখা থাকলেও তারা কিনে আনেন ১৭২ টাকা দরে। বিক্রি করে ১৮০ টাকায়। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কেনেন ৮৫০ টাকায়। অথচ এর লেবেলে দর ৮১৮ টাকা।’’ 

এই ব্যবসায়ী জানান, বাজারে এ বিষয়ে কোনো মনিটরিং করা হয়নি।

মুন্সীগঞ্জ বাজারের আবুল হোসেন স্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘‘হয়ত দাম বাড়াবে। তাই কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। কবে নাগাদ সরবরাহ স্বাভাবিক করবে তাও বলছে না।’’ 

মুন্সীগঞ্জে কর্মরত তীর ব্যান্ডের স্টাফ মো. হাফিজ জানান, তাদের কাছে এখন সরবরাহ কম। তাই দোকানে চাহিদামতো তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

মুন্সীগঞ্জে তীর ব্যান্ডের ডিলার মনজিল বলেন, ‘‘সরবরাহ কম থাকায় যাদের ৫০ কার্টন তেল লাগে তাদের দোকানে ৫-১০ কার্টন তেল সরবরাহ করছি। কোম্পানি জানিয়েছে, এক সপ্তাহ পরে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।’’ 

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এটা শুধু মুন্সীগঞ্জে হচ্ছে না। সারা দেশে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আমাদের পক্ষে এ ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই। তবে, বোতলের লেবেলে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’’ 

ঢাকা/রতন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়