মাগুরায় শহীদ ফরহাদের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা
মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পরিবারের লোকজন চান না ফরহাদ হোসেনের মরদেহ উত্তোলন হোক
মাগুরার শ্রীপুরে পরিবারের সদস্যরা রাজি না হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ফরহাদ হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাগুরাতে শহীদ হন।
আদালতের নির্দেশে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরহাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার রায়নগরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর একটি দল ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলনের জন্য যান। ফরহাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মীয় রীতিসহ নানা কারণে এ বিষয়ে রাজি হয়নি। এতে তার মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
নিহত ফরহাদ শ্রীপুরে রায়নগরের গোলাম মোস্তফার ছেলে ও চট্রগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে ছাত্র ছিলেন। গত ৪ আগস্ট ঢাকা রোড নবগঙ্গা ব্রিজ এলাকায় ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি কিন্তু অপর একটি পক্ষ এ বিষয়ে মামলা করে। যার সূত্র ধরে মাগুরা জেলা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালত ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।
মরদেহ উত্তোলন করতে না দেওয়া ও পূর্বে ময়না তদন্ত না হওয়ার বিষয়ে নিহত ফরহাদের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘‘ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ করেনি। এ ছাড়া আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মামলা করিনি। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কে বা কারা একটি মামলা করেছেন। এ কারণে ও ধর্মীয় রীতি মেনে আমরা মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পক্ষে নই।’’
মাগুরার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ ফরহাদের লাশ উত্তোলনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পরিবার রাজি না হওয়ায় লাশ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।’’
মাগুরা/শাহীন/এনএইচ