ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী কিশোরকে বেঁধে রেখে নির্যাতন, ইউপি সদস্যকে শোকজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪  
প্রতিবন্ধী কিশোরকে বেঁধে রেখে নির্যাতন, ইউপি সদস্যকে শোকজ

গাইবান্ধা সদরে চুরির অভিযোগে হোসেন মিয়া নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারধরসহ নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আহসান হাবীবকে শোকজ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসানের নির্দেশে আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাসুম হক্কানি।

আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে নোটিশে। 

আরো পড়ুন:

অভিযুক্ত আহসান হাবীব খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ভুক্তভোগী হোসেন মিয়া একই ইউনিয়নের রথবাজার মাঝিপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর ছেলে।

ইউএনও মো. মাহমুদ আল হাসান জানান, চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রশি দিয়ে বেঁধে মারধরের ঘটনায় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আহসান হাবীব মুঠফোনে বলেন, “হোসেনকে শাসন করার জন্য পরিষদ ভবনে হাত বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারধর করা হয়নি।”

খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানি বলেন, “আমার ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে আমাকে কেউ জানায়নি। জানার পর ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে তাকে (ইউপি সদস্য) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।” 

ভুক্তভোগীর বাবা আনছার আলী বলেন, আমার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। সে কারো কোনো ক্ষতি করে থাকলে আমাকে জানাতে পারত। এভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। স্যারকে (ইউএনও) বিচার দিয়েছি, দেখি উনি কি করেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে সুপারি চুরির অভিযোগে হোসেনকে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগীর মাথা ও মুখ চেপে ধরে কয়েকজন যুবক মারধর করছে। প্রায় দুই ঘণ্টা আটক করে রাখার পর রাতেই ভুক্তভোগীকে ‘ভালো হওয়ার শর্তে’ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেন ইউপি সদস্য আহসান হাবীব। 

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়