কৃষি জমিতে ১০০ ইটভাটা, বৈধতা দিল কে?
জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম
মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি জমিতে এভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা
কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধ রাখতে সরকার পদক্ষেপ নিলেও গত এক যুগে মানিকগঞ্জে একশো’রও বেশি ইটভাটা কৃষি জমিতেই গড়ে উঠেছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এসব ইটভাটা গড়ে উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। নীরব থেকেই তারা ক্ষান্ত হননি, কৃষি জমিতে ইটভাটা পরিচালনা করতে কাগজে কলমে দিয়েছেন অনুমোদন, দিয়েছেন অনাপত্তিপত্রও। তবে বিষয়টির দায়িত্ব কেউ নিতে চান না। তাহলে কে দিল কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরির অনুমোদন?
মানিকগঞ্জ জেলায় গত এক যুগে নির্মিত ইটভাটাগুলোর তথ্য উপাত্তে প্রমাণ মিলেছে মানিকগঞ্জে এই সময়ের মধ্যে কৃষি জমিতে একশো’রও বেশি ইটভাটা নির্মাণ হয়েছে। ওইসব ইটভাটার আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারাও কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চাষিদের কাছ থেকে কৃষি জমি লিজ নিয়েও গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা।
আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ইটভাটা স্থাপনে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স, কৃষি অফিসের অনাপত্তিপত্র, উপজেলা ভূমি অফিসের সুপারিশপত্র, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ একাধিক অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কৃষিতে জমিতে ইটভাটা নির্মাণ পুরোপুরি নিষেধ থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র খুব সহজেই পেয়েছে ইট ভাটা নির্মাণকারীরা।
শুধু তাই নয়, অনায়াসে প্রতি বছর নবায়নের ছাড়পত্রও মিলছে। অভিযোগ রয়েছে, তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অসাধু কর্তা ব্যক্তিদের ঘুষ দিয়েই এসব ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন করে নিচ্ছেন ভাটা মালিকরা। এ ছাড়া যারা নবায়ন করতে পারছেন না, তারা আইনের ফাঁকফোকরে রিট করে ইটভাটা পরিচালনা করছেন।
প্রতি বছর তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রশাসন ইটভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানাও করছেন। তবে তাতে বন্ধ হচ্ছে না ভাটা মালিকদের তৎপরতা।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক পারভেজ বলেন, “এসব অভিযান রুটিন ওয়ার্ক, লোক দেখানো। সত্যিই প্রশাসন যদি ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইতো, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরেও কীভাবে ভাটাগুলো চলে? এ ছাড়া কৃষি জমিতে ভাটাগুলো গড়ে উঠলেও প্রশাসন নীরব থেকেছে। ফলে গত এক যুগে কৃষি জমিগুলো খালে পরিণত হয়েছে।”
সবজি চাষে সিংগাইরের সুনাম দেশব্যাপী। এ উপজেলার সবজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। অথচ এই উপজেলার শুধুমাত্র বলধারা ও চান্দহর ইউনিয়নেই গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক ইটভাটা। অন্যদিকে জেলার অর্ধেক ইটভাটা এ উপজেলাতেই অবস্থিত।
কৃষি জমিতে কীভাবে ইটভাটাগুলো অনাপত্তি পেলো সে ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, “আমি দেড় বছরের বেশি সময় এখানে আছি। আমার সময়ে কোনো ইটভাটার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি।”
কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটা (স্যাটেলাইট চিত্র)
এ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন কৃষিবিদ মো. টিপু সুলতান স্বপন। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপপরিচালক (হর্টিকালচার) পদে কর্মরত আছেন। তার কাছেও একই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, “আপনি এ বিষয়ে বর্তমানে সিংগাইরে যিনি কর্মরত আছেন তার সাথে যোগাযোগ করেন।” তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, “আমার কর্মকালীন সময়ে কোনো ইটভাটার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি।”
জেলার কতগুলো ইটভাটা কৃষি অফিসের অনাপত্তিপত্র পেয়েছে তা জানতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে গিয়েও তথ্য মেলেনি। পরে লিখিতভাবে আবেদন করেও পাওয়া যায়নি ইটভাটার তালিকা।
সিংগাইর উপজেলায় এক যুগ আগে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৩৫৮ হেক্টর। ২০২২ সালে তা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ২৪৫ হেক্টর। বিগত এক যুগে আবাদযোগ্য জমি কমেছে ১১৩ হেক্টর বা ৮৫০ বিঘা। এসব জমির টপ সয়েল গেছে ইটভাটার পেটে।
এ উপজেলার বিলবাড়ির চক, বলধারা, খোলাপাড়া, হুনাখালি চক, বায়রার সানাইল ও চারিগ্রামের বালিয়াডাঙ্গী চকে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় জলাশয়, যা ১০ বছর আগে ছিল ফসলি জমি। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের বাকি উপজেলাতেও ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে দিন দিন কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে।
বায়রার সানাইল এলাকার কৃষক রুস্তম মোল্লা বলেন, “সানাইল চকে আমার ২০ শতাংশ জমি ছিলে। ভালোই চাষ হতো। তিন বছর আগে আমার জমির পাশের জমি থেকে ইটভাটার মাটি নেওয়া শুরু হয়। পাশের জমি থেকে মাটি নেওয়ায় আমার জমিতে ভাঙন ধরে। মাটিখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করা যায় না। পরে বাধ্য হয়ে আমার জমির মাটিও বিক্রি করে দিয়েছি। এভাবেই কৃষি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হয়েছে।”
চারিগ্রাম এলাকার মনির মিয়া বলেন, “প্রথম দিকে কৃষি জমিতে একটা ভাটা গইরা উঠে। বছর যায় আর ভাটা বাড়ে। জমিনগুলার মাটিও সব নিয়া যায়। না দিলে ঝামেলা করে। আমাগো মাটি না দিয়া কোনো উপায় নাই।”
ইটভাটাগুলোকে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইট পোড়ানোর অনুমোদন নিতে হয়। নানা শর্তে ইট পোড়ানোর অনুমোদন নিলেও মাঠ পর্যায়ে তা পালন করেন না ভাটা মালিকরা। কৃষি জমিতে ইটভাটা, পরিবেশ দূষণের অভিযোগ, কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনিশ্চিতসহ একাধিক দৃশ্যমান কর্মকাণ্ডের পরেও এসব ইটভাটাগুলোকে ইট পোড়ানোর অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন।
গত এক যুগে বিভিন্ন ইটভাটায় আইন ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। একদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা- অপরদিকে প্রতি বছর ইট পোড়ানোর লাইসেন্স প্রদান করা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
এবিসি ইটভাটার ব্যবস্থাপক আরফান দেওয়ান বলেন, “সরকারি নিয়ম নীতি পুরোপুরি মেনে ভাটা পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য। স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে বলে, সেভাবেই ইটভাটা পরিচালনা করা হয়। সবাই যেভাবে ভাটা পরিচালনা করেন, আমরাও সেভাবেই করি।”
সিংগাইর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “জেলা প্রশাসন প্রতিটি ইটভাটার লাইসেন্স প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে ভাটা স্থাপনের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত বা প্রতিবেদন চেয়ে থাকেন। সিংগাইরের ইটভাটাগুলোর মতামত বা প্রতিবেদন আগে দেওয়া হয়েছে। আমার সময়ে কোনো মতামত বা প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।”
অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশের মধ্যে কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলায় কৃষি জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কৃষিজমি সুরক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় কমছে জমি। বড় ধরনের বিপর্যয়ের আগেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মানিকগঞ্জ কৃষি জমি সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ইট তৈরিতে শত শত একর জমির উর্বর অংশ পোড়ানো হয়। ইট ভাটার মালিকেরা কৃষকদের এককালীন কিছু টাকার বিনিময়ে চাষাবাদের জন্য জমির উপরি অংশের গুরুত্বপূর্ণ মাটি কেটে নিয়ে যায় ইট তৈরির উপাদান হিসেবে।
‘নিয়ম না মেনে চাষের জমি ক্ষতি করে প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরিতে ক্ষতি করছে পরিবেশ, মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য, উর্বর মাটি ও বায়ু। যারা আইন না মেনে ভাটা করেছেন এবং যারা অনুমোদন দিয়েছেন সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”
২০১৭ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের ভাটবাউর মৌজায় নতুন ইটভাটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে কৃষক ও ভাটা মালিকের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। ফসলি জমিতে ইটভাটা না করার জন্য ২৪৭ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটা (স্যাটেলাইট চিত্র)
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময়ে দায়িত্বরত সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে একাধিকবার ইটভাটা এলাকা পরিদর্শন ও তদন্ত করেন। তবে ওই এলাকায় ফসলি জমি বাঁচেনি। বছর গড়িয়েছে, আরও ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
হরিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৬ জন কৃষক ইটভাটার মাটিকাটা বন্ধে অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা করেনি প্রশাসন। চলতি বছরও এ উপজেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। কৃষি জমির মাটিও যাচ্ছে।
ওই এলাকার তুষার মিয়া বলেন, “প্রশাসন প্রতি বছর কৃষি জমিতে মাটি কাটা ও ইটভাটার দূষণরোধে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু অভিযান তেমন কোনো কাজে আসে না।”
গত এক যুগে কৃষি জমিতে ইটভাটা বন্ধ ও কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধে একাধিক অভিযোগ হয়েছে। তবে এত অভিযোগের পরেও প্রশাসনের দায়িত্বরতরা কৃষকদের পাশে দাঁড়াননি। আর এতে কৃষি জমির সর্বনাশ হয়েছে। যা অপূরণীয়।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “কৃষি জমিতে ইটভাটা গড়ে থাকলে কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করেন সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিটি ইটভাটা মালিক ইটভাটার অনুমোদন পেতে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন। প্রতি বছর ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন করতে সরকারি রাজস্ব খাতের বাইরেও ভাটা মালিকদের প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানের নাম করে এসব ভাটা থেকে অনুদান নেয় প্রশাসন। সেই হিসেবে গত এক যুগে এসব ভাটা থেকে বিভিন্ন দপ্তরে কোটি টাকার বেশি ঘুষ লেনদেন হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ভূমি অফিস, কৃষি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদসহ একাধিক দপ্তরের অসাধু ব্যক্তিরা এ ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ।
ভাটা মালিকদের ভাষ্য, পুরোপুরি নিয়ম মেনে ইটভাটা পরিচালনা করা সম্ভব না। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করেই ভাটা পরিচালনা করতে হয়।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী বলেন, “মানিকগঞ্জ জেলায় ১১৫টি ইটভাটার ছাড়পত্র রয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৫টি ইটভাটা ছাড়পত্রবিহীন পরিচালিত হচ্ছে। এসব ভাটায় অভিযান পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ইটভাটাগুলো পরিবেশ আইন না মানার পরেও কীভাবে নবায়নের ছাড়পত্র পাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রতিটি ইটভাটা পরিদর্শন করে নবায়নযোগ্য হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়।”
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নুর আহমেদ বলেন, “অনাবাদি জমি ছাড়া ইটভাটার অনাপত্তিপত্র উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রদান করতে পারেন না। অনেক সময় কৃষি অফিসের অনাপত্তিপত্র ছাড়াই ইটভাটাগুলো নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে কোনো কৃষি জমিতে ইটভাটার অনুমোদন বন্ধে উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিসের অনাপত্তি ছাড়াও অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “দ্রত অবৈধ্য ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরকারি বিধিমালার আলোকে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা নির্মাণে ভাটা মালিকদের সহযোগিতা করা হবে। আইন না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করার সুযোগ নেই। যদি কেউ আইন অমান্য করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’তে বলা হয়েছে- আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যক এলাকা; সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি; কৃষি জমি; প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এবং ডিগ্রেডেড এয়ার শেড (Degraded Air Shed) এসব স্থানে কোনো ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন করতে পারবেন না।
ঢাকা/সনি