ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩১

পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু, অবরুদ্ধ তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ০৯:২৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু, অবরুদ্ধ তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের আটকের ভয়ে পালাতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) নামের এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে কয়েক ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টিম। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই। 

স্থানীয়রা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রফিকুল ইসলাম দুদুকে ধরতে আসে থানা পুলিশ। এসময় পালাতে গিয়ে ৪নং ব্রিজ থেকে পড়ে রফিকুল ইসলাম দুদু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে এলাকাবাসী কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। 

নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিশ দুদুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় তিনি যেতে চায়নি। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে।
 
বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। 

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, রফিকুল ইসলাম দুদুকে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
  
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, “পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তিনজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।” 

কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক বলেন, “তিন পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গেছেন। তারা এসআই সালাউদ্দীনসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছে। সেই সাথে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়