‘র্যাবের পোশাক’ পরে অপহরণ, মুক্তিপণ নিতে গিয়ে ২ নারী আটক
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ফেরদৌস হোসেন
বগুড়ায় ‘র্যাবের পোশাক’ পরে অপহরণ করা ফেরদৌস হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে অপহরণ ও মুক্তিপণেরর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুই নারীকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে অপহৃত ফেরদৌসকে নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সেখানকার পুলিশ উদ্ধার করে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ জানান, র্যাব পরচয় দেওয়া ব্যক্তিরা তাদের কেউ নন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে তারা কাজ করছেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিন বলেন, “অপহরণের ঘটনায় ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। আমরা এখনো ভিকটিম এবং আটক দুই জনের কাউকে হাতে পাইনি। তাদের পেলে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।”
অপহৃত ফেরদৌস বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান হক কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই গ্রামের হাবিল সরকারের ছেলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রবাস থেকে তাকে র্যাবের পোশাক পরিহিত কয়েকজন উঠিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা বেগম বলেন, “শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একটি মাইক্রোবাসে আসা র্যাবের পোশাক পড়া কয়েকজন ছাত্রবাস থেকে ফেরদৌসকে ডেকে বের করে। এরপর তাকে মারধর করে মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে ফেরদৌসের পরিবারের কাছে ফোন করে অপহরণকারীরা সাত লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে পরিবার তিন লাখ টাকা দেয়। এরপরেও ফেরদৌসকে মুক্তি না দিয়ে আরো টাকা দাবি করতে থাকে অপহরণকারীরা।”
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি বগুড়া জেলা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। বিকেল ৫টার দিকে নারায়নগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশ বিকাশে টাকা নিতে আসা দুই নারীকে আটক করে। নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকায় অপহৃত ফেরদৌসকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাধবদী থানা পুলিশ ফেরদৌসকে উদ্ধার করে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ