ঢাকা     রোববার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১ ১৪৩১

তিস্তার পাড়ে ভাঙন রোধে বিশেষ মোনাজাত 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪  
তিস্তার পাড়ে ভাঙন রোধে বিশেষ মোনাজাত 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত করেছেন এলাকাবাসী। 

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফুলমিয়ার বাজার এলাকার তিস্তার তীরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ অংশ নেন। এর আগে তারা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধেনে বক্তারা বলেন- শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর পুটিমারী গ্রাম থেকে দক্ষিণ শ্রীপুর দত্তের খামার গ্রামের বটতলি পর্যন্ত হঠাৎ তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক বিঘা ফসলি জমি, বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে শত বিঘা ফসলি জমি ও বাড়ি। ভাঙন কবলিত এলাকার অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। 

আরো পড়ুন:

বক্তারা অভিযোগ করেন, নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই দ্রুত নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আহ্বান জানান। 

শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, “দেড়মাস আগ থেকে ব্যাপকভাবে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। উত্তর শ্রীপুর পুটিমারী গ্রাম থেকে দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের বটতলি পর্যন্ত কয়েক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জানানো হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই, এলাকাবাসী স্ব-উদ্যেগে মানববন্ধন করেছেন। ভাঙন থেকে বাঁচতে তারা মোনাজাত করেছেন। কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।” 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, “শ্রীপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে একটি সমীক্ষার কার্যক্রম শেষ করেছি। প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়