ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ২ ১৪৩১

ময়মনসিংহে শীতের পোশাক

নিম্নবিত্তের ফুটপাতই ভরসা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নিম্নবিত্তের ফুটপাতই ভরসা

অগ্রহায়ণের শেষ দিকে এসে ময়মনসিংহে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায় যবুথবু অবস্থা প্রায় সব বয়সী মানুষের। বিত্তবানদের কাছে এই শীত উপভোগ্য হলেও বিপাকে আছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। একটু উষ্ণতার খোঁজে, অল্প দামে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন তারা। 

ময়মনসিংহ অধিকাংশ বিপণি-বিতানগুলো নগরীর গাঙ্গিনাপাড়, হকার্স মার্কেট, নতুন বাজার ও চড়পাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে। আর এসব এলাকার রাস্তার পাশে বসেছে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান। শীত থেকে বাঁচতে এ সকল দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এসব দোকানে বিক্রিও হচ্ছে বেশ। বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে ক্রেতাদের উপস্থিতিও তত বাড়বে। 

ক্রেতা—বিক্রেতারা জানায়, পুরনো কাপড়ের দোকানে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক, ব্লেজার, কোট, জ্যাকেট, টি—শার্ট, সোয়েটার, ফুল হাতার গেঞ্জি, প্যান্ট, জিন্সের মোটা শার্ট, হুডি, মাফলার, কানটুপি, হাত ও পায়ের মোজা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। 

নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে আসা বেশ কয়েকজন জানায়, বড় দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে গরম কাপড় কেনার সামর্থ তাঁদের নেই। তাইতো শীত থেকে রক্ষা পেতে এই কম দামের দোকান ও ফুটপাতে এসেছেন। 

শীত উপলক্ষে নগরীতে বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে বসেছে অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের দোকানে সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ আসেন। যাদের নামি-দামি দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। 

এদিকে এই তীব্র শীতে কষ্টে আছেন ফুটপাত, বস্তি ও ভাসমান মানুষ। এই শ্রেণির মানুষের কোনো ধরনের শীতের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। তারা প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন সরকারি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায়। 

ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ও ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বস্তি এলাকার বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো গরম কাপড় পাননি তারা। শীতে খুব কষ্টে আছেন বলেও জানান তারা। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “ময়মনসিংহে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইশো কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ১৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে।”

ঢাকা/মিলন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়