সিআইপি সম্মাননা পেলেন সরাইলের আতিকুর রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি সম্মাননা পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের আরব আমিরাত প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে এনআরবি ২০২৫ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও সিআইপি কার্ড তুলে দেন আতিকুর রহমানের হাতে। আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনীতিতে সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এনআরবি)’ নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী সিআইপি (এনআরবি) নির্বাচন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সিআইপি সম্মাননা পাওয়া আরব আমিরাত প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা (পানিশ্বর) গ্রামের মৃত হাজী আবদুল জব্বার মাষ্টারের ছেলে। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পীরবাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
১৯৯২ সালে পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৯৯ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শেষ করে দেশে ৫ বছর চাকরি করে ২০০৪ সালে তিনি আরর আমিরাতে পাড়ি জমান এবং দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে সেখানে রিয়েল স্টেটের (ভবন নির্মাণ) ব্যবসা করে আসছেন। আরব আমিরাতে নিজের কনস্ট্রাকশন ফার্মে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান বলেন, “আমার কনস্ট্রাকশন ফার্মে বর্তমানে দেশ-বিদেশের আড়াইশো ব্যক্তি কর্মরত আছেন। আমার উদ্দেশ্য দেশ ও গ্রামের অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারগুলোকে সচ্ছলতার মুখ দেখানো। সেজন্য আমি আরো অধিক সংখ্যক লোককে বিদেশে নিয়ে গিয়ে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স এনে দেশের উন্নয়ন করতে চাই।”
ঢাকা/রুবেল/ইমন