চট্টগ্রামে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ওমর ফারুক মাসুম নামে এক সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ১৩ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০-১২ জনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন।
ওমর ফারুক মাসুম চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক। তিনি কলাউজান ইউনিয়নের আদারচর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন- লোহাগাড়া থানার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান, তার ছেলে শওকত (২৬), রিমন (২২), এরশাদ (২৫), ইমন (১৯) ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২৩), মিজানুর রহমান (২৩), সাকিব (২২) এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন (৪৩), হোসেন সওদাগর (৪২), ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোজাফ্ফর (৪২), সাইফুল (৩৫), ইলহাম কলি (২৮)।
সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুম বলেন, “গত বৃহস্পতিবার কলাউজান ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব পরিষদে সাত্তার নামের এক বিচারপ্রার্থীকে মারধর করেন। লোহাগাড়া উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার সময় বিচারপ্রার্থী সাত্তার বিষয়টি আমাদের জানান। এরপর সাত্তারকে মারধরের বিষয়ে ইউপি মেম্বার হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোজাফ্ফর আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০টির মতো মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে আসা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমি ও আমার সঙ্গীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. শহিদকে গুরুতর জখম করে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।”
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, “সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। দ্রুততম সময়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ