ঢাকা     বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১০ ১৪৩১

জাহাজে সাত খুন 

মাগুরায় নিহত ২ জনের পরিবারে শোক 

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মাগুরায় নিহত ২ জনের পরিবারে শোক 

নিহত মাজেদুলের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি

চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছে সার বোঝাই এমভি আল-বাকেরা জাহাজে হত্যার শিকার হন সজিবুল মুন্সী (২২) ও মো. মাজেদুল (১৬)। তাদের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ীয়া ও চর যশোবন্তপুর গ্রামে। এই দুই যুবকের মৃত্যুর খবরে দুই গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ীয়া ও চর যশোবন্তপুর গ্রামে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। 

নিহত সজিবুল মুন্সী পলাশবাড়ীয় গ্রামের দাউদ মুন্সির ছেলে। চর যশোবন্তপুর গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে মাজেদুল। দুই পরিবারের পুরুষরা মরদেহ আনতে চাঁদপুরে অবস্থান করছেন। 

আরো পড়ুন:

নিহত স্বজনরা জানান, সজিবুল ইসলাম ১৭ দিন আগে জাহাজে গ্রিজারের কাজ নিয়ে যান। মাজেদুল পাশ্ববর্তী গ্রামের ঝামা বরকাতুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা থেকে এ বছর নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দেন।

মোবাইলে কথা হলে নিহত মাজেদুলের বড় ভাই রসুল মোল্যা বলেন, “আমরা গতকাল দুপুরে ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পাই, আল-বাখেরা জাহাজে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আজকে সকালে আমরা লাশ আনতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে যাই। লাশ বুঝে পেয়েছি। লাশ নিয়ে দুটি পরিবার এখন বাড়ির পথে। লাশবাহী গাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা অতিক্রম করেছে।”

তার অভিযোগ, “এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। চাঁদপুরের এই নৌ রুটে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলে। বিশেষ করে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি হয়। চাঁদা না দিলে মারধর করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

নিহত মাজেদুলের বাবা আনিসুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় বেঁচে থাকা ফরিদপুরের জুয়েল বলতে পারবেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত। আমরা সকারের কাছে সুষ্ঠু  বিচার দাবি করছি।”

নিহত সজিবের প্রতিবেশী সাইফুর রহমান বলেন, “আমরা মনে করছি, এটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”

মহম্মদপুর থানার ওসি আব্দুর রহমান বলেন, “নিহতদের লাশ বাড়িতে পৌঁছে দিতে আমরা সহযোগিতা করছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ খোঁজখবর রাখছেন।” 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়