বিএনপির মানববন্ধনে হামলায় মামলা, সাবেক এমপিসহ আসামি ২৭৮
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হবিগঞ্জে ২০২৩ সালে বিএনপির মানববন্ধনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির।
তিনি বলেন, “থানার এসআই মো. মফিজুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করবেন।”
এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেরাজ আহমেদ সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দুই হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হামলা হয়। যেখানে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আবু জাহির ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগিতায় হামলা চালানো হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ছালেক মিয়া, পিটিআই রোডের বাসিন্দা জাভেদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, সদর উপজেলার রিচি গ্রামের ওয়াসিম উদ্দিন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল প্রমুখ।
আসামিদের মধ্যে মো. আবু জাহির, আলমগীর চৌধুরী, মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আতাউর রহমান সেলিম ও শঙ্খ শুভ্র রায় কারাগারে এবং বাকি আসামিদের অধিকাংশ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় পলাতক।
ওসি আলমগীর কবীর আরো বলেন, “মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আর যারা কারাগারে রয়েছেন তাদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।”
ঢাকা/মামুন/ইমন