অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দরের কার্যক্রম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পণ্য বোঝাই জাহাজ
চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরের কার্যক্রম।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ।
ধর্মঘটের কারণে নদী বন্দরে কার্গো জাহাজ থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হ পড়েছে বন্দরের শত শত শ্রমিক। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান- আশুগঞ্জ নদী বন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদী পথে ঢাকা চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
তিনি বলেন, “চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে মাস্টারসহ সাত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এবং সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তেল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রুবেল/সনি