ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩২

চাঁদা না পেয়ে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৪৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
চাঁদা না পেয়ে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত

ছুরিকাঘাতে আহত দুই নেতাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং তার সহযোগীদের ছুরিকাঘাতে যুবদল এবং ছাত্রদলের দুই নেতা আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঁদা না পেয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন।

আহত দুই নেতা বলছেন, হামলার আগে চাঁদাবাজরা তাদের অপহরণ করেন। পরে ছুরিকাঘাত করা হয়। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে জেলার পবা উপজেলার দর্শনপাড়া এলাকায় অপহরণ এবং ছুরিকাঘাত করা হয়। 

আহতরা হলেন, রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পবার দামকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম সরকার। দুজনেই পবার দামকুড়া ইউনিয়নের শীতলাই এলাকার বাসিন্দা। তারা রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

আরো পড়ুন:

আহত মাসুম সরকার জানান, যুবদল নেতা হাবিব এবং তিনি দর্শনপাড়া এলাকায় একটি পুকুর খনন করছেন। গত বৃহস্পতিবার পবার দর্শনপাড়া এলাকার ছাত্রদলের সাবেক নেতা জনি এবং তার সহযোগীরা তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন শুক্রবার বিকালে জনি, তার সহযোগী দারুশার সুমন এবং রাজশাহী মহানগরীর রাণীদিঘির পাপ্পু এবং শ্রীরামপুর এলাকার পাপ্পুসহ ১৫ থেকে ২০ জন চাঁদাবাজ পুকুর খননের স্থানে যান। এ সময় জনির নেতৃত্বে চাঁদাবাজরা যুবদল নেতা হাবিবের ভাই মোবারক এবং স্কেভেটরের (মাটি খনন যন্ত্র) চালক দেলোয়ারকে অপহরণ করে। হাবিব এবং তিনি সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে দারুশা-নওহাটার রাস্তায় অপহৃত মোবারক ও দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় চাঁদাবাজরা তাদের ওপর হামলা চালান।

মাসুম আরও জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের সময় চাঁদাবাজরা তাকে এবং হাবিবকে ছুরিকাঘাত করেন। তার বাম হাত এবং পিঠে ছুরির ছয়টি আঘাত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরে রক্ত দেওয়া হয়েছে। একইভাবে হাবিবের পিঠে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হামলার সময় চাঁদাবাজরা আগ্নেয়াস্ত্রও প্রদর্শন করে। তারা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনি বলেন, ‘‘আহত যুবদল নেতা হাবিব আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর মাসুম আমার বড় ভাই। আমি হামলা বা অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। চাঁদা দাবির অভিযোগও ভিত্তিহীন। হামলার পরে আমি তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছি।’’ 

এ ব্যাপারে রাজশাহী নগর পুলিশের কর্ণহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘‘এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়