ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৬ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, ঠাঁই পাবে ৫০০ পরিবার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:০১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
গাইবান্ধায় বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, ঠাঁই পাবে ৫০০ পরিবার

বন্যার বিপদকালীন সময়ে বন্যাদূর্গত মানুষের জীবন রক্ষা, মালামালসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া ও সার্বিক দুর্যোগের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।  

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের পশ্চিম চিথুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ।

ম্যাক কাগির্ল এ ফাউন্ডেশনের (এমএসিপি) আর্থিক সহায়তায় ও স্থানীয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রদৃপ্ত প্রকল্পের মাধ্যমে এ আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। 

এ সময় জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, “পশ্চিম চিথুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক এই কেন্দ্রে বন্যা কবলিত মানুষ তাদের শিশু ও বয়স্ক মানুষ ছাড়াও পশুপাখি নিয়ে আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয়কেন্দ্রটি নদীবেষ্টিত এই এলাকার শতশত মানুষের অনেক উপকারে আসবে।”

প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন জানান, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটিতে বন্যাকালীন সময়ে প্রায় ৫০০ পরিবার আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদিপ্রাণির জন্য আলাদা শেড নির্মাণ করা হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য  জরুরী চিকিৎসা কেন্দ্র, শিশু বান্ধব কেন্দ্রসহ নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা ওয়াশ ব্লকের নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বন্যার পানির উচ্চতার রেকর্ড বিবেচনা করে  আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।  

মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সরকার বলেন, “গাইবান্ধার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে তার ইউনিয়ন অন্যতম। এখানে একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ায় মানুষের অনেক উপকার হবে। এখন আর গরু-ছাগল নিয়ে মানুষকে পানিতে ভাসতে হবেনা।” 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজউদ্দিন সরকার, কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রোগামের উপপরিচালক মৃতুঞ্জয় দাশ উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরোয়ার সোহেল, প্রদৃপ্ত প্রকল্পের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এসএম জগলুল রাজিব ও প্রকল্পের টেকনিক্যাল কোর্ডিনেটর বায়েজীদ বোস্তামী এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক  ফারুক হোসেন।

ঢাকা/মাসুম/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়