শিবচরে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

মাদারীপুর জেলার শিবচরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

এদের মধ্যে সুলতান শেখ (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বিএনপি সমর্থক। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের ডাইয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতার হোসেন জানান, মাদবরের চর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এর সদস্য আজিজুল সরদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম মোল্লার সাথে একই এলাকার শ্রমিক দল নেতা মো. নাসির, সুলতান শেখের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার করতে আজিজুল সরদার ও জসিম মোল্লা তাদের লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানের সিন্ধান্ত নেয়। 

এ বিষয়টি নিয়েই পরস্পরের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় সুলতান শেখ নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজিজুল সরদার, জসিম মোল্লা, কামাল ফকিরসহ তাদের লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থক। এবং এলাকায় বিগত সময়ে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। অন্যদিকে নাসির, সুলতান শেখ, শফিক সরকারসহ তাদের লোকজন বিএনপির সমর্থক। এলাকায় এই দুই পক্ষ স্থানীয়ভাবে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। 

দীর্ঘদিন ধরেই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে বিএনপিতে যোগদানের পরিকল্পনা করে আওয়ামী লীগের ওই নেতা ও তাদের লোকজন। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতার হোসেন বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দেয়নি।”