ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৯ ১৪৩১

কারখানা বন্ধ ঘোষণা, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪  
কারখানা বন্ধ ঘোষণা, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ 

সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা

জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুনে অবস্থিত কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানা। বন্ধের নোটিশ পেয়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ফলে সড়কটিতে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।  

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কারখানার সামনের কোনাবাড়ি কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা। কারখানা বন্ধের নোটিশ পেয়ে তারা বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী পালন করছেন। আজ সকাল থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ি কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কারখানা বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকরা বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার পাশে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

সোমবার দুপুরে কারখানা বন্ধের নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিডিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি. (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) এর সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে, গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আকস্মিকভাবে অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে: শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার জান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা অনুয়ায়ী কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হল।’

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘পরবর্তীতে কারখানায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি সাপেক্ষে, কারখানা খোলার তারিখ লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শ্রমিকদের সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’

আন্দোলনে যোগ দেওয়া এক শ্রমিক নাম প্রকাশ না কারর শর্তে বলেন, আমরা দুই মাসের বেতন পাইনি। কোনো আশ্বাসে কাজ হবে না। আমাদের আজকেই বেতন দিতে হবে। বেতন না পেলে আমরা মহাসড়ক ছেড়ে যাব না। প্রয়োজনে সারারাত মহাসড়কে শুয়ে থাকব। মালিককে আমাদের এখানে আসতেই হবে। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কাশিমপুর সাব জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, “আমরা একটা নোটিশ দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি বেতন পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকরা স্বাভাবিকভাবে বেতন চায়। এদিকে মালিক আর্থিক অবস্থার কারণে বেতন দিতে পারছেন না। তিনি কারখানাতেও আসেন না। শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়