জাহাজে ৭ খুন: পালিয়ে যাওয়ার আগে খিচুড়ি খান ইরফান
চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হক বিরিয়ানির দোকান থেকে বিরিয়ানি খান ইরফান
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. ইরফান খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নতুন জামা কিনে তা পরে ডিম-খিচুড়ি খেয়েছিলেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় এ তথ্য জানিয়েছেন নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইরফানের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব স্থানসহ সব কিছুই উদঘাটন করছি। রিমান্ড চলছে এবং রিমান্ড শেষে সব জানানো হবে।’’
সোমবার রাত ৯টায় নৌপুলিশ আসামি ইরফানকে গাড়ি করে চাঁদপুর পৌরসভা রোডে নিয়ে আসে। সেখানে ইরফান যে দোকানে খিচুড়ি খান এবং নতুন পোশাক কেনেন তা দেখিয়ে দেন। এ সময় ইরফানকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে গেলে নৌপুলিশ প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই শেষে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে রাস্তার পাশের হক বিরিয়ানি দোকানের মালিক মো. সবুজ বলেন, ‘‘গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এই ছেলেটি এসে বলেন কম দামে কী পাওয়া যায়? আমি বললাম, ৫০ টাকা দিয়ে আমার দোকানে ডিম-খিচুড়ি রয়েছে। পরে তিনি সেটি খেতে চাইলে আমি সুন্দর মতো প্লেটে বেড়ে দেই। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি, এই ছেলেই এত বড় খুনের ঘটনা ঘটিয়ে এসেছেন।’’
এ সময় জনতা ক্লথ স্টোরের মালিক মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘‘শীতে কাতরাতে কাতরাতে এই ছেলে এসে একটি জ্যাকেট কিনতে চান। পরে ৯৩০ টাকা দিয়ে আমার দোকান থেকে জ্যাকেট কেনেন। তিনি ধরা পড়ার সময় আমার দোকানের জ্যাকেট তার গায়ে ছিল। কিন্তু তিনি যে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে এসেছিলেন, তা বুঝতে পারিনি।’’
গত ২৫ ডিসেম্বর র্যাবের হাতে আটক হয় ইরফান। ওই দিন বিকালে আদালতে সোপর্দ করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই হিসাবে আজ রিমান্ডের ৫ম দিন চলছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় আল-বাকিরা নামের জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন মুমূর্ষু অবস্থায় আরো তিনজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা/জয়/বকুল