চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার লুট, অসুস্থ ৩

লক্ষ্মীপুরে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে এক পরিবারের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়েছে চোররা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী ও পুত্রবধূ। 

গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে রাম কিশোর বেপারীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সৌরভ চন্দ্র নাথ সদর মডেল থানায় নাম না জানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, চোররা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এর আগে কোনো একসময় ঘরে ঢুকে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয় তারা।

অসুস্থরা হলেন- শংকর দেবনাথ, তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী নাথ ও পূত্রবধূ তমা রাণী নাথ। তাদের বাড়িতে রেখা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, গৃহকর্তা শংকরসহ তার স্ত্রী, পুত্রবধূ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে খাবার খাননি তাদের ছেলে সৌরভ। তবে তিনিও ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেলে সৌরভ ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখেন। তিনি ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। সৌরভ তার মোবাইল ফোনও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তিনি তার বাবা, মা ও স্ত্রীকেও ঘুম থেকে উঠাতে পারছিলেন না। পরে ঘরের মালামাল যাচাই শেষে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা পাননি তিনি। চোরের দল মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

সৌরভ চন্দ্র নাথ বলেন, “রাতে আমি ঘরে খাবার খাইনি। তবে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি দরজা খোলা। জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে ঘরে কেউ আছে মনে হচ্ছিল। খুঁজতে গেলে ঘর থেকে বের হয়ে চোররা বাগানের দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। চেষ্টা করেও ধরতে পারিনি। তারা কোনো একসময় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। আমার বাবা-মা ও স্ত্রী এখনো অসুস্থ।”

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “অভিযোগ পেয়ে এসআই আনিছকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হচ্ছে।”