বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন 

গাইবান্ধায় বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন স্টেশন বাদিয়াখালী বাজারে মানববন্ধন করা হয়। 

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, বাদিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুক্তভোগী শ্রী. বিপুল সাহা, দিদারুল ইসলাম, মো. ফিরোজ মিয়া, মো. মামুন মিয়া প্রমুখ। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন, বাদিয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।

বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর সদর উপজেলার বাদিখালীখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রহমান সুমন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাধারণ মানুষের জমি দখল ও চাঁদাবাজি করছেন। তার বিরুদ্ধে এখনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি। 

তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে কিন্তু মানুষের মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করতে বিএনপির পদধারী কিছু লোক জমি দখল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এসব চাঁদাবাজদের লাগাম টেনে না ধরলে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও মনোবল ভেঙে পড়বে। তাই গোলাম রহমান সুমনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রহমান সুমন বলেন, ‘‘এসব অভিযোগের সত্যতা নেই। কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে নজরদারি করতে বলেন। আমিসহ চার ওয়ার্ডের চারজন সভাপতি মাটি কাটতে নিষেধ করি। এ নিয়ে যুবদলের কিছু নেতা মনক্ষুণ্ন হয়। তাই এলাকাবাসীকে উস্কে দিয়ে যুবদল নেতা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব অপরাধের কথা ছড়ানো হচ্ছে।’’ 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাদিয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি বলেন, ‘‘এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছি। আজ যারা সাধারণ মানুষের জমি দখল ও চাঁদাবাজি করছেন, তারা দলে অনুবেশকারী। এ অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সুমনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।’’  বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারাই এসব অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি নেতা সুমনের বিরুদ্ধে আনা এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিকের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।