ঢাকা     শনিবার   ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২০ ১৪৩১

শ্রমিক আন্দোলনে ৫২ দিন উত্তাল ছিল গাজীপুর

গাজীপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ১ জানুয়ারি ২০২৫  
শ্রমিক আন্দোলনে ৫২ দিন উত্তাল ছিল গাজীপুর

২০২৪ সালে ৫২ দিন শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল ছিল গাজীপুর

গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার পোশাক কারখানাসহ অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। কখনো বেতন-বোনাসের দাবিতে, কখনো তৃতীয় পক্ষের উস্কানি ও রাজনৈতিক কারণে হয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। ২০২৪ সালে ৫২ দিন শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল ছিল গাজীপুর। এর জের ধরে ঘটে বিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে অনেক বার। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। আটক হয়েছেন অন্তত অর্ধশত লোক।  

নতুন মজুরি কাঠামোর আলোকে বেতন দেওয়ার দাবিতে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেন দুটি কারখানার শ্রমিকরা। জানুয়ারির ১১, ১৩, ১৯, ২২ ও ২৮ তারিখে শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বর কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। 

এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১ দিন, মার্চে ৫ দিন, জুনে ১ দিন,  জুলাইয়ে ২ দিন, আগস্টে ৪ দিন, সেপ্টেম্বরে ৮ দিন, অক্টোবরে ৪ দিন, নভেম্বরে ১৪ দিন ও ডিসেম্বরে ৫ দিন শ্রমিক আন্দোলন চলে।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গাজীপুরে ব্যাপক শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। কখনো কখনো তারা ২-৩ দিন মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে হয়েছে জনভোগান্তি। ঘটেছে বেশকিছু হতাহতের ঘটনা।  

শ্রমিক ও মালিকপক্ষ বলছে, গত বছরের সবকিছু ভুলে নতুন বছরে শিল্প বাঁচাতে সবাই বদ্ধপরিকর। যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতে পারে, তবে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। শিল্প বাঁচলে আমরা বাঁচব।

অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের সংগঠক আরমান হোসাইন বলেছেন, “অভ্যুত্থানের পর শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। পোশাক খাতে অসন্তোষের প্রধান কারণ বেতন বকেয়া পড়া এবং শ্রমিকদের জীবনমান উন্নতির দাবি। এ বিষয়গুলো বরাবর এড়িয়ে গিয়ে শ্রমিকদের ওপর দায় দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের কেন অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ নেই। যদি থাকত তাহলে কারখানার অভ্যন্তরেই সমাধানের সিদ্ধান্ত নিতে পারত। অনেক কারখানার মালিক আন্দোলনে থাকা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু, পরে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে এবং শ্রমিক ছাঁটাই করে কালো তালিকাভুক্ত করছে। ফলে, শ্রমিকদের ভেতর অসন্তোষ চলছে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও জীবন-জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করলেই শ্রমিক অসন্তোষ থামানো সম্ভব।”

ঢাকা/রেজাউল/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়