ঢাকা     শনিবার   ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২০ ১৪৩১

নারীকে মারধর: ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ১ জানুয়ারি ২০২৫  
নারীকে মারধর: ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনায় গ্রেপ্তার আহত যুবকের যথাযথ চিকিৎসায় বাধা ও নারীকে মারধরের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা আসমা বেগম সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী বিএম ফারুক বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রিজন সেলের এসআই বিভূতিভূষণ ভৌমিক, কনস্টেবল হিরো আহমেদ, কনস্টেবল সাহাব্বার ও কনস্টেবল সজল।

আরো পড়ুন:

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ‘‘গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে তার ভাগ্নি জামাতা হাসানুজ্জামান আকাশ নগরীর মিয়াপাড়া বন্ধনের মোড়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরদিন ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোনো মামলা না থাকার পরও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এসআই বিভূভিভূষণ আহত আকাশকে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করেন। সেখানে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন আসমা বেগম এসআই বিভূতিভূষণকে জিজ্ঞাসা করেন, বারবার বলা সত্ত্বেও আকাশকে প্রিজন সেলে আটকে রেখে কেন চিকিৎসা দেননি? এ কথা বলার পর এসআই বিভূতিভূষণ ও কনস্টেবল সজল আসমা বেগমকে গালিগালাজ ও ধমক দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিবারের অন্য সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের উত্তেজিত হতে নিষেধ করলে পুলিশ সদস্য হিরো আহম্মেদ এবং সাহাব্বার তাদের গলাধাক্কা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে সরিয়ে দেন।’’ 

মামলার এজাহারে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘এমন অবস্থায় আসমা বেগম এসআই বিভূতিভূষণকে বলেন, আপনারা না পারলে আমাদের কাছে দেন আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এ কথা বলামাত্র এসআই বিভূতিভূষণ উত্তেজিত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। তখন তিনি চিৎকার করলে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তার মাথার ডান পাশ কেটে যায়, পরবর্তীতে মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়।’’  

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়