খুলনায় পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার, সরবরাহ ২ লাখ ৬৩ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
এবার খুলনায় চাহিদা মোতাবেক পাঠ্যপুস্তকের সরবরাহ পাওয়া যায়নি। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শ্রেণির বই নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। তবে, আংশিক বই বিতরণ করা হয়েছে বুধবার, বছরের প্রথম দিন।
এদিকে, বছরের প্রথম দিন পাঠ্যপুস্তক হাতে পাওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
খুলনা জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সূত্র জানান, খুলনা মহানগর ও জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এ বছর পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা রয়েছে মোট ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩ কপি। তার বিপরীতে বছরের প্রথম দিন সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৬২ কপি। যার অধিকাংশই বছরের প্রথম দিন বুধবার বিতরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বুধবার খুলনা নগরীর ভিক্টোরিয়া ইনফ্যান্টস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলমসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বলেন, “খুলনায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আড়াই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ছিল ৯ লাখ ৮২ হাজার। সেখানে শুধুমাত্র প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সরবরাহ পেয়েছি ১ লাখ ৫৪ হাজার কপি। যা বুধবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির কোনো পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ পাওয়া যায়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণি এবং প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অবশিষ্ট পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ পাওয়া যাবে।”
অপরদিকে, খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শামছুল হক বলেন, “জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ২৪ লাখ ২১ হাজার ৭০৯ কপি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। সেখানে সরবরাহ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬২ কপি। তবে, বছরের প্রথম দিন জেলার আওতাধীন খুলনা সদর (কোতোয়ালী), খানজাহান আলী, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও তেরখাদা উপজেলায় আংশিক সরবরাহ করা হলেও রূপসা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় কোনো বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।”
শিগগির চাহিদা মোতাবেক বই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইমন