বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর: ২৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু (৫৪) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান। 

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি দৌপ্রদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক, রুহিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) নেত্রী লাবণ্য সরকার দিয়া, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার, সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ ঝা ও সাবেক ক্রিয়া অফিসার মহিউদ্দীনসহ ২৯৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে   ধারালো ছুরি, শটগান, লোহার রড, চাপাতি, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, বাঁশের লাঠি সহ মারাত্মাক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুসহ তাঁর লোকজনের উপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে। আসামিদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হয়। আসামিদের তাণ্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেয়। তারা ককটেল ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপির এ নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোটলের প্রেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলেন, এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।