সাতক্ষীরায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হিমশীতল বাতাস ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কারনে সাতক্ষীরায় শীতের তীব্রতা দিন দিন আরো বাড়ছে। টানা কয়েক দিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কারনে সাতক্ষীরায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সকাল ৯টার সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরো জানান, তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিকাল থেকে শীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়ছে এবং রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম, কামরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সকালে কোনো ভাড়া পাচ্ছি না। শীতের কারনে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। আয়-রোজগার একদম কমে গেছে। সংসার চালাতে পারছি না।
শহরের বিনেরপোতায় এলাকায় শ্রমজীবী শামসুর রহমান, কারিম গাজি, বাবুলসহ অনেকেই জানান, হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। দ্রুত শীত বস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানান তারা।
এদিকে, সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
চিকিৎকরা বলছেন, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালগুলোতে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
ঢাকা/শাহীন/ইমন