হবিগঞ্জে শিল্পদূষণে জনদুর্ভোগ চরমে
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হবিগঞ্জে শিল্পদূষণ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। শিল্পবর্জ্য দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও পথসভা করে এ দাবি করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার্সের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সদস্য সচিব শরীফ জামিলের নেতৃত্বে জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া এলাকা পরিদর্শন ও পথসভা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বিশিষ্ট লেখক তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশকর্মী আব্দুল কাইয়ূম, বাহার উদ্দিন, চাঁদ সুলতানা চৌধুরী, আনু বেগম প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল রাজখালসহ সংশ্লিষ্ট গ্রামসমূহে দূষণের ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান। স্থানীয় মানুষের বর্ণনায় দূষিত পানির সংস্পর্শে এসে গবাদি পশুর মৃত্যু এবং ফসলের মাঠে ফসল না হওয়ার কষ্টের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তারা আরো জানান, এই খালের দূষণ প্রাথমিকভাবে সরাসরি চারটি গ্রামে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই দূষণ বলভদ্র নদী হয়ে মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
ধরার সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, “কোনো শিল্পকারখানা উৎসে বর্জ্য পরিশোধন না করে কারখানার বর্জ্য প্রাকৃতিক খাল, জলাধারে বা উন্মুক্ত স্থানে নিক্ষেপ করতে পারে না। হবিগঞ্জের শিল্পদূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে একটি শক্তিশালী সরকারি টিম স্থায়ীভাবে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে আমরা জানতাম।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা আশা করি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবিলম্বে হবিগঞ্জে চলমান ব্যাপক শিল্পদূষণ বন্ধে জনসম্পৃক্ত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তবে যেহেতু মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমি তাদেরকে সংঘটিত হয়ে এই শিল্পদূষণের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই।”
শিল্পদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের মধ্য থেকে প্রতিনিধিদলের সাথে কথা বলেন- আব্দুর নুর, আব্দুর রউফ, মো. আজদু শাহ, সাবেক শিক্ষক আবু ইউসুফ, গৃহবধূ শামসুন্নাহার, ইসহাক মিয়া, মো. হুমায়ুন কবির, মোতাহের হোসেন, মো. অলি মিয়া, মস্তু মিয়াসহ আরো অনেকে।
ঢাকা/মামুন/ইমন