পুনরায় চালুর অপেক্ষায় সেতাবগঞ্জ চিনিকল, খুশি স্থানীয়রা
মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর || রাইজিংবিডি.কম
সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড। ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় বৃহৎ এই শিল্পকারখানা। চিনিকলটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে। মিলে আবার উৎপাদন শুরু হলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তাই খুশি স্থানীয়রা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবুল বাশার।
১৯৩৩ সালে ৩ হাজার ৭৮৩ একর জমির ওপর সেতাবগঞ্জ চিনিকল স্থাপন করা হয়। ১৯৮২ সালে এটি আধুনিকীকরণ করা হয়। এই কলে চিনি ছাড়াও তৈরি হতো জৈব সার, চিটাগুড় ও মন্ডা। লোকসানের মুখে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলটি। এতে বিপাকে পড়েন আখ চাষ সংশ্লিষ্ট ৬ হাজার শ্রমিক এবং চিনিকলের ১ হাজার ৯৬ কর্মী।
স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলী বলেছেন, “এই সুগার মিলে আমার বাপ-দাদা কাজ করেছেন, আমি করেছি। চার বছর ধরে সুগার মিল বন্ধ থাকায় আমার বেহাল দশা। বর্তমান সরকার নাকি আবারও মিলটি চালু করবে। আমি খুবি খুশি। মিল পুনরায় চালু হলে আমরা আবারও নতুন জীবন পাব।”
মিলের কয়েকজন শ্রমিক বলেন, “আমাদের অন্য কোনো কর্ম নেই। এই মিলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমরা একেবারে অচল হয়ে পড়েছি। সরকার আবারও মিল চালু করবে। এলাকায় চাষিরা আখ চাষ শুরু করেছেন। মিল চালু হলে আমাদের আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আমরা কাজ পাব। সংসারের সকল কষ্ট দূর হবে।”
সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল বাশার বলেছেন, “মিল চালু করার বিষয়টি পর্যাপ্ত আখ চাষের ওপর নির্ভর করছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা আখ চাষ শুরু করেছেন। চাহিদা মোতাবেক আখ চাষ করা হবে। আগামী বছর মিল মেরামত করা হবে। মিল চালু করতে ১ হাজার ৯৬ জন লোকের প্রয়োজন। আশা করছি, আগামী প্রায় দুই বছরের মধ্যে মিল চালু হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/রফিক