ঢাকা     সোমবার   ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৩ ১৪৩১

নাফ নদীতে কোস্টগার্ড-মাদক পাচারকারীদের গোলাগুলি, নিহত ১

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৪ জানুয়ারি ২০২৫  
নাফ নদীতে কোস্টগার্ড-মাদক পাচারকারীদের গোলাগুলি, নিহত ১

আটককৃত মাদক পাচারকারী ও ডাকাত

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও মাদক পাচারকারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এসময় এক মাদক পাচারকারী নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড তাজা গুলিসহ ১৬ জনকে আটক করে কোস্ট গার্ড। 

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোস্টগার্ড টেকনাফ ষ্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. জালাল উদ্দিন জানান, শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফ নদীর মোহনায় ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

নিহত ব্যক্তির নাম মোসলেহ উদ্দিন (৫০)। তিনি ভোলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা। 

আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৫ জন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমূদ্র উপকূল দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান আসার খবর পায় কোস্টগার্ড। মিয়ানমারের মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। কোস্টগার্ড আভিযানিক দল ট্রলারটি থামার সংকেত দিলে ট্রলারটি দ্রুতগতিতে কক্সবাজারের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে ট্রলারটি থামার সংকেত দেয়। সন্দেহভাজন ট্রলার থেকে কোস্টগার্ডের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু হয়। 

কোস্টগার্ডের আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে এবং ট্রলারটি অকেজো করার উদ্দেশ্যে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি ছুঁড়ে। এরপর ট্রলারটি আটক করা হয়। পরে ট্রলারটি তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড তাজা গুলি ও ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়। ট্রলারটি তল্লাশি করে ইঞ্জিনরুমে একজন পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আটককৃত ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সাগরে ফেলে দেয়। ফেলে দেওয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। 
জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়