ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৪ ১৪৩১

চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকারের জামিন নামঞ্জুর

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৬ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২৩:০৩, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকারের জামিন নামঞ্জুর

জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে সোমবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়

পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সাংসদ শামসুল হক টুকুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচার মুস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

এর আগে, আজ বিকেল ৪টার দিকে শামসুল হক টুকুকে কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে  জামিন আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। জামিনের বিরোধিতা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

আরো পড়ুন:

আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শামসুল হক টুকু বলেন, “আল্লাহ যেখানে রাখে ভালোই রাখে। আপনারা ভালো থাকেন। দেশ ভালো থাকুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ুক। পাবনাবাসী ভালো থাকুক।’

প্রসঙ্গত, বেড়া পৌরসভার বৃশালিখা মহল্লার মির্জা আব্দুল হামিদের ছেলে ব্যবসায়ী মির্জা মেহেদি হাসান বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পাবনার আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ভাই সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, টুকুর ছেলে সাবেক পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ১৫ থেকে ২০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী মির্জা মেহেদি হাসান অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৬ মে অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ অন্যরা ব্যবসায়ী মির্জা মেহেদি হাসানের মার্কেট ও জমি দখল করে তার কাছে চাঁদাবাজি করেছিলেন। ৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তনের পরে গত বছরের ১০ ও ১২ সেপ্টেম্বর টুকুর দোসররা একইভাবে চাাঁদাদাবিসহ ওই জমিতে যেতে দেননি মেহেদি হাসানকে। এসব ঘটনায় তার অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেড়া থানার সহকারি পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‍“তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিক সতত্যা মিলেছে।”

টুকুর আইনজীবী ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, “বাদী যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করে মামলা করেছেন, দেখা গেছে সেই সময় শামসুল হক টুকু সেনাবাহিনীর কাস্টডিতে ছিলেন।পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন। অতএব এটি একটি ভিত্তিহীন মামলা। যার প্রাথমিক সত্যতা নাই। অসত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে শুধুমাত্র তাকে হয়রানি করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়