সিজারের সময় নবজাতকের মাথায় ক্ষত: চিকিৎসকের ভাষ্য রোগ
চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের মাথার তালু কেটে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযোগ দাতা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, মাথা কেটে ফেললে মারা যেতো নবজাতক। এটি হচ্ছে এক ধরনের রোগ। অভিযোগটি হাসপাতালের জন্য মানহানিকর।
গত ৩ জানুয়ারি শিশুটির বাবা নজরুল ইসলাম খোকন চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগটি দেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকদের একজন চিকিৎসক মো. জাহাঙ্গীর ক্ষতটিকে ‘স্কিন ডিজিজ’ (চর্ম রোগ) বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগের সত্যতা জানতে হামাইচরে শিশুটির বাবার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয়। সে সময় শিশুটির বাবা নজরুল ইসলাম খোকন কথা বলতে রাজি হননি, বরং ব্যস্ততা দেখিয়েছেন। শিশুটির পরিবারের অন্য সদস্যরাও কথা বলতে চাননি।
চিকিৎসক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “এটি কয়েক মাস আগের ঘটনা। কোনো এক কুচক্রী মহলের অসৎ উদ্দ্যেশ্যে হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এক লোক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। আমরা বিষয়টি আইনীভাবে মোকাবিলা করব। কোনো অসৎ উদ্দ্যেশ্য পেলে আমরা ওই লোকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে ব্যবস্থা নেব।”
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তি ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে তার স্ত্রীকে সিজার করতে নিয়ে যান। সিজারের সময় তার নবজাতক কন্যা শিশুর মাথা কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে বলে থানায় অভিযোগ করেন। সিজারিয়ান চিকিৎসক ছিলেন ডা. নুসরাত জাহান মিতা।
অভিযোগে নজরুল আরো উল্লেখ করেন, তার নবজাতক সন্তানকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা করাতে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। হাসপাতালের লোকজন পূর্বে এ সংক্রান্ত্র খরচ বহন করবে বললেও পরবর্তীতে একটি টাকাও দেয়নি। একপর্যায় টাকা চাইলে মিথ্যা মামলাসহ অজ্ঞাত লোক দিয়ে মারধরের হুমকি দেয়।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার কাদির মিজি বলেন, “আমরা টাকা-পয়সা দেব এমন কোনো কথাই ওদরেকে বলিনি। হয়তো কোনো কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে থানায় তারা অহেতুক এই অভিযোগ করেছেন। আমরা আইনীভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করব এবং মানহানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, “নজরুল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই শুধু একের পর এক ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছি।”
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ