বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধে বাগেরহাটে ৮ ঘরে আগুন, আহত ২৫
বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের কারণে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বর এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। গত সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আজ দুপুরে ও বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় শতাধিক লোক রুহুল মেম্বর ও তার সাত ভাইয়ের ঘরে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে রুহুল মেম্বরসহ তার পরিবারের আটটি ঘর পুড়ে যায়।
রুহুল মেম্বরের স্ত্রী রজিনা বেগম বলেন, “আমার স্বামী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চান। প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছেন তারা।”
রুহুল মেম্বরের ছোট বোন ফরিদা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, “নারী ও শিশুদের অনুরোধ সত্ত্বেও তারা আমাদের বাড়িতে আগুন দেয়। সবাইকে রক্তাক্ত করেছে। আমরা দোষীদের বিচার চাই।”
মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাসুম মোল্লা বলেন, “রুহুল মেম্বরের লোকজনই আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মারাত্মকভাবে আহত করেছে। সন্ধ্যায় তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।”
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ