ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুমিল্লা, ভিড় বেড়েছে শীতবস্ত্রের দোকানে
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুমিল্লার কান্দিরপাড় বাজারে শীতবস্ত্রের দোকান
কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার জনজীবন। বিশেষ করে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ শীতদুর্ভোগে খুব কষ্টে আছে। এ অবস্থায় ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।
কুমিল্লার কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বর, চকবাজার, রানীবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে শীতবস্ত্র কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। সাশ্রয়ী দামেই এসব শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা।
কুমিল্লার বেশ কয়েকটি ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে শিশুদের জাম্পার ১৫০-৩০০ টাকায়, পুরুষদের হুডি ২৫০-৩৫০ টাকায় এবং নারীদের সোয়েটার ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চাদর ২৫০-৪৫০ টাকায়, উলের টুপি, গ্লাভস, এবং স্কার্ফ ৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তুলনামূলকভাবে ফুটপাতে এসব পণ্যের দাম কম থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকে ফুটপাতে ছোটদের বিভিন্ন সাইজের গরম কাপড়, বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ বিভিন্ন আইটেমের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। হকাররা অনেকে ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০-২০০ টাকা হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন। সোয়েটার ও জ্যাকেটের দাম মানভেদে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ছোটদের সোয়েটার ৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী তুহিন মিয়া বলেন, “শীতকে কেন্দ্র করে আমরা অস্থায়ী মার্কেট গড়ে তুলেছি। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পুরাতন কাপড় ক্রয় করে এনে এখানে বিক্রি করি।”
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন তারা। ভ্রাম্যমাণ এসব ব্যবসায়ীরা বাঁশের ফ্রেম বানিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে অল্প টাকায় পায়ের মোজা, হাতমোজা, কান টুপি বিক্রি করছেন।
কান্দিরপাড় ভ্রাম্যমাণ দোকানি ফরিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা অনেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর শীত মৌসুমে শীতবস্ত্র বিক্রয়ের জন্য আসি। এখানে ভালো বিক্রি হচ্ছে।”
ঢাকা/রুবেল/টিপু