ঢাকা     শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৬ ১৪৩১

মেছোবাঘ কুপিয়ে-পিটিয়ে মারলো এলাকাবাসী

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১০ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১১:২১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
মেছোবাঘ কুপিয়ে-পিটিয়ে মারলো এলাকাবাসী

ফাইল ফটো

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে ৫ ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির একটি মেছোবাঘ কুপিয়ে ও পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী। হত্যার পর মৃত ওই মেছোবাঘ নিয়ে স্থানীয় জনগণ উল্লাস করেছে বলেও জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মেছোবাঘকে মারার পর মাটি চাপা দিয়ে রাখে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছু দিন যাবৎ দুটি মেছোবাঘ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রবনগর কান্দি ও পাশের রাউৎভোগ এলাকায় চলাফেরা করছিল। মেছোবাঘগুলো রবনগর কান্দি এলাকার তারা মিয়ায় চায়ের দোকানের সামনে থেকে কিছু দিন আগে ছাগলের বাচ্ছা ধরে নিয়ে যায়। 

এছাড়া বাঘদুটির গর্জনে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে অতংঙ্ক বিরাজ করছিল। বুধবার সন্ধ্যায় মেছোবাঘ রাউৎভোগ এলাকায় গর্জন করলে সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে বাঘের উপরে হামলা চালানো হয়। পরে সেখান থেকে মেছোবাঘটি পালিয়ে গেলেও পরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আবারো সেটিকে রাউৎভোগ গ্রামের কাদের মেম্বারের বাড়ির সামনে ঘেরাও করে স্থানীয়রা। 

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা টঙ্গিবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, “বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঘটিকে ঘেরাও করার পর দূর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে একটি ছেলে টেটা ছুড়ে মারলে সেটি বাঘের শরীরে বিদ্ধ হয়। এ সময় বাঘটি টেটার কুড়া ভেঙে কাদের মেম্বার এর পুকুরের পানিতে লাফিয়ে পরে। পরে চারদিকে লোকজন জড়ো হলে বাঘটি পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাদির মেম্বার বাড়ির পাশের পানের বরজের ভেতরে আহত অবস্থায় বাঘটিকে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী আবারো জড়ো হয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলে।” 

তিনি আরো বলেন, “মেছোবাঘটি সাড়ে ৩ হাত লম্বা হবে। বাঘটি মারার পরে বন বিভাগের লোকজন এসে এলাকাবাসীকে বাঘ দেখলে না মেরে তাদের খবর দিতে বলে গেছে।” 

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন মিয়া বলেন, “বাঘ মারার খবর শুনে আমি সাথে সাথে রাউৎভোগ গ্রামে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি এলাকাবাসী বাঘটিকে মেরে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে। পরে আমি স্থানীয়দের ভালোভাবে বুঝিয়ে এ ধরনের কাজ না করতে। যদি এ ধরনের বাঘের সন্ধান যদি তারা পান তাহলে না মেরে আমাদের খবর দিলে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে আসবো।”

ঢাকা/রতন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়