ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

‘ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫  
‘ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না’

শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাশিনগর এলাকায় তিতাস নদীর পূর্ব পাড়ে নদী সম্মিলনের আয়োজন করা হয়

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের চারপাশে ভারতের ৫০টির মতো ড্যাম, ব্যারেজসহ হাইড্রলিক অবকাঠামো আছে। এসবের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। মূলত, ভারত নদীকে ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না।” 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষাবিষয়ক সংগঠন ‘তরী’ আয়োজিত নদী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নদী রক্ষায় একসাথে’ স্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাশিনগর এলাকায় তিতাস নদীর পূর্ব পাড়ে এ সম্মিলনের আয়োজন করা হয়। 

মনজুর আহমেদ চৌধুরী, “বাংলাদেশকে পানির বিষয়ে ভারতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভরশীল হতে হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৫০টির বেশি আন্তঃসীমান্ত নদী আছে। এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে দুই দেশের চুক্তি নিয়ে ভারতের আগ্রহ খুবই কম। তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই, ভারতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে ডেল্টা প্রকল্প প্রহণ করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলে ট্রান্সফার করতে চায়, যেটি বাংলাদেশের জন্য সমূহ বিপদ। ভারত থেকে যেসব নদীর শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক পরিমাণ পানি বঙ্গোপসাগরে যায়। এসব নদী দিয়ে গ্রীষ্মকালে ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশে আসে। গ্রীষ্মকালে ভারতে পানি তো দেয়ই না, উল্টো গঙ্গার পানি তারা ব্যাপকভাবে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পানি যখন বেশি দরকার, তখন কম দেয়; যখন কম দরকার, তখন বেশি পানি দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে। সিলেট এবং ফেনীর বন্যার সেগুলোর প্রমাণ। এগুলোকে ভারত জিয়োপলিটিক্সের অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে।” 

বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশব্যাপী নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।

তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে নদী সম্মিলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশীদ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা।

ঢাকা/রুবেল/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়