ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি: মাহমুদুর রহমান

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২১:৪৫, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি: মাহমুদুর রহমান

শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, “একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। সেই বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি। সরকারের উচিৎ ছিল, ক্ষমতায় বসার পর দেশে শুদ্ধি একটা অভিযান করা। তা না করে হঠাৎ পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছেন। তা বাড়ানোর আগে পরামর্শের প্রয়োজন ছিল। যেখানে গরিবের কষ্ট হবে না, সে জায়গায় ভ্যাট বাড়ানো উচিৎ ছিল।”

তিনি বলেন, “ওষুধের ওপর কেন ভ্যাট বাড়ালেন? কারণ বিপ্লবের চেতনা ধারণ করতে পারেননি। এগুলো হল এই সরকারের দুর্বলতা।” 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সামাজিক সংগঠন আস-সিরাজ আয়োজিত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, “২০১৩ সালে যারা শহীদ হয়েছিলেন, আমরা অনেকেই মনে করেছিলাম আন্দোলন বিফলে গেছে। তবে না, সেই আন্দোলনের বিজয় ২০২৪ সালে এসেছে, তাদের বিপ্লব সফল হয়েছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি দেশ। কারণ যারা তাকে ফ্যাসিবাদ হতে সহায়তা করেছিল, তারা এখন আওয়ামী লীগের বদলে অন্য দলের ওপর সওয়ার হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের বিভাজনের রাজনীতিকে কবর দিতে হবে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো বিদেশি শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কুক্ষিগত করতে দেওয়া হবে না।”

আস সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে  বিশেষ আলোচক ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এরপর ১৫ শহীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/মিলন/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়